গাইবান্ধা পৌরসভায় তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়ন না করা সহ কাজের বিল পরিশোধ না করে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং লাইসেন্স
নবায়ন এর দরখাস্ত দিলেও তা রিসিভ না করার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিকার ও প্রতিবাদ চেয়ে ১৬ আগষ্ট সোমবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারবৃন্দ।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শহরের ষ্টেশন রোডের মেসার্স জোহা এ্যান্ড সন্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর প্রপাইটর সরদার মোঃ শাহীদ হাসান লোটন জানান- আগামী ২৫ আগষ্ট এলজিএসপির দরপত্র রয়েছে। ওই দরপত্র সহ বিভিন্ন দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রাখতে পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান পৌরসভায় তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়ন না করা সহ কাজের বিল পরিশোধ না করে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং লাইসেন্স নবায়ন এর দরখাস্ত দিলেও তা রিসিভ না করার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান বিরুদ্ধে।অন্যদিকে কিছু কিছু ঠিকাদারের লাইসেন্স নবায়ন করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রতি অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। কিন্তু এবছর হঠাৎ করে লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে ৩০ জন ঠিকাদার লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছেনা। ঠিকাদাররা জানান-তারা গাইবান্ধা পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট, ট্যাক্স,ও পৌরসভায় সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে সুনামের সাথে ঠিকাদারি করে আসছে। এছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে অনেক ঠিকাদারি কাজের বিল পরিশোধ করছে না মেয়র। যারা পৌর কর্তৃপক্ষের মনঃপুত ও আস্থাভাজন ব্যক্তি শুধু তাদের লাইসেন্স নবায়ন করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ঠিকাদারী লাইসেন্স নবায়ন করা ও বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে মেয়র। তালিকাভুক্ত কোন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যদি অপকর্ম দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তো মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের। কিন্তু তাদের কোন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই। কোন ঠিকাদারের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত মেয়রের কোন নিয়ম নেই। এ মেয়রের কাছে গেলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছে। ফলে লাইসেন্স নবায়ন না হলে সরকার পৌর রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবে।এছাড়া পৌরসভার আবার অনেক কাজ দরপত্র ছাড়াই বাস্তবায়িত হচ্ছে। একদিকে পৌর তহবিলে অর্থ নাই বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ অন্যদিকে মেয়র এর অফিস রুম ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের কাজ চলছে। প্রসাব একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান জনগনের অধিকার সংরক্ষণ করাই পৌর কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু মেয়র ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়ন ও বিল প্রদান না করে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। পৌর কর্তৃপক্ষের এহেন কর্মকান্ডে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক বরাবর দরখাস্ত দেয়া হলে তারা মেয়রকে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি প্রদান এর বিষয় চিঠি ইস্যু করলেও মেয়র এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। এ সব থেকে পরিত্রাণ পেতে ঠিকাদাররা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নূহা ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী আলহাজ্ব খান মোঃ সাঈদ হোসেন জসিম, মুরাদ কারিগরি প্রপাইটর লিটন, আলিফ লাম মিম কনস্ট্রাকশন স্বত্তাধিকারী জিয়াউর রহমান সুমন, আব্রাম এন্টারপ্রাইজ স্বত্তাধিকারী ত
অনু, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান মাহমুদ রাসেল, প্রদীপ কুমার বটু সহ অনেকে।