স্বপ্নের মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ঢাকাবাসীকে পরীক্ষামূলকভাবে ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) ওপর দিয়ে চালিয়ে দেখানো হচ্ছে ট্রেন। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর এমআরটি-৬ ডিপোতে এই পরীক্ষামূলক পরিচালনা ও পরীক্ষণের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে গতকাল ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রবিবার (আজ) উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মিরপুর পর্যন্ত এই ‘ট্রায়াল রান’ হবে। এই পরীক্ষামূলক চলাচলে চালকের আসনে রয়েছেন একজন জাপানি নাগরিক। এর আগে ১১ মে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের ডিপোর ভিতরে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চালিয়ে দেখানো হয়। আর গত শুক্রবার উত্তরা দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালিয়ে দেখানো হয়, যা ছিল আজকের ট্রায়ালের প্রস্তুতি। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী মেট্রোরেলের ডিপোতে দুই সেটের মোট ১২টি কোচ পৌঁছেছে, যার প্রথম সেটের ছয়টি ২১ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সেটের আরও ছয়টি কোচ ১ জুন ঢাকা পৌঁছায়। মেট্রোরেলে প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বর্গমিটারে আটজনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। ডিএমটিসিএলের অধীনে ঢাকা ও আশপাশে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি লাইন-৬। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।