1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, সিংহভাগ জনতায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত অর্থবছর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায়, যার সিংহভাগই জনতা ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ উত্তর আসে। জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মোট এক লাখ ৮২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপির পরিমাণ ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংকের আট হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের সাত হাজার ১৫৬ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের পাঁচ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের চার হাজার ৯০ কোটি টাকা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) ৫৫৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলো বিকল্প-বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে সফল না হলে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তার তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরে (২০১৫-২০১৯) সোনালী ব্যাংক পাঁচ হাজার ৩০৫ কোটি ২৯ লাখ, জনতা ব্যাংক দুই হাজার ৮৬১ কোটি ৬৩ লাখ, অগ্রণী ব্যাংক দুই হাজার ৯৫৫ কোটি ৩৪ লাখ, রূপালী ব্যাংক এক হাজার ৮৫ কোটি ৩০ লাখ, বেসিক ব্যাংক ৮৮০ কোটি ৮৬ লাখ ও বিডিবিএল একহাজার ৭১ কোটি ৮ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করেছে। ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ঋণ মওকুফ করেছে।
একবছরে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করল রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে মোট মওকুফ করা সুদের পরিমাণ ১৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।’
রোববার সংসদ অধিবেশনে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সরকারি ব্যাংকগুলো কত টাকা মওফুক করেছে তার তালিকা দেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহ সরকারি নির্দেশনার আলোকে তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করে ঋণের সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মোট সুদ মওকুফের বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করে। ঐ বিবরণীতে ঋণগ্রহীতা-ওয়ারী সুদ মওকুফ সংক্রান্ত তথ্য সন্নিবেশ করা হয় না। ব্যাংকসমূহ হতে পৃথকভাবে ঋণ গ্রহীতার নাম, ঠিকানা ও মওকুফকৃত সুদের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ বিধায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহ কর্তৃক এই পরিমাণ সুদ মওকুফ করা হয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি