আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে ফের রকেট হামলা চালানো হয়েছে। আজ সোমবার সকালে একাধিক রকেট ছোড়া হয়। খবর রয়টার্সের।
যত রকেট উড়ে এসেছে, তার সবই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিস্ক্রিয় করতে পেরেছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে; তবে পরে এ তথ্য বদলেও যেতে পারে, বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
হোয়াইট হাউসও কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের কার্যক্রম ‘নির্বিঘ্নেই চলছে’ বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সহযোগী আইএসএস-কে বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালানোর সুযোগ খুঁজছে বলে আগেও কর্মকর্তারা সাবধান করেছিলেন। এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় মার্কিন বাহিনী প্রস্তুত ছিল। ইরাকের অভিজ্ঞতায় তারা বিমানবন্দর ও এর আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সচল রেখেছিল।
আগামীকাল ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শেষ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দরের ভেতরের এলাকা মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এখনো সামরিক-বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, কাবুলে একটি আবাসিক এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সিএনএনের খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জামারা (৪০), নাসির (৩০), জমির (২০), ফয়সাল (১০), ফারজাদ (৯), আরমিন (৪), বেনিয়ামিন (৩), আয়াত (২) এবং সুমাইয়া (২)।
নিহত এক শিশুর ভাই অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারণ একটি পরিবার ছিলাম। আমরা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) নই। এটি আমাদের নিজের বাড়ি।