কমলনগরে আলী হোসেন নামে এক ব্যাক্তির খাশ সরকারী সঠিক দখলীকৃত সম্পত্তির উপর ভূয়া মালিক সেজে দলিল ও খতিয়ানে নতুন করে নথি ফেলে জবর দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে মৃত, আলী উল্ল্যার ছেলে সিরাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ।লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৪নং চর মাটিন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর চরমাটিন গ্রামের উত্তর চর মাটিন মৌজার ১নং খাশ খতিয়ান সাবেক – ৭২৪ দাগ জমির পরিমাণ ৪২শতাংশ। বর্তমান হাল দাগ ১০৪৮ খতিয়ানে মোট তিন দাগে ৮২শতাংশ জমি নিয়ে কমলনগর উপজেলার উত্তর চর মাটিন গ্রামের মৃত আলী উল্ল্যার ছেলে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম,এবং নাদেরুজ্জামানের ছেলে বাদী আলী হোসেন কমলনগর উপজেলার উত্তর চরমাটিন গ্রামের বাসিন্দা, তাদের দুই পক্ষর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।সিরাজুল ইসলাম সরকারের খাশ সম্পত্তি নিজের জমি দাবী করে।কিন্তু সরকারের বন্দবস্ত খাশ সম্পত্তি দেওয়ার কথা ছিলো আলী হোসেন ও সলেমা খাতুনের নামে। সিরাজুল ইসলামে,তার নিজ নামে গোপনে সরকারী বন্দবস্ত সম্পত্তির নেওয়ার জন্য আলী হোসেন ও সলেমা খাতুনের থেকে তাদের নামে নথি করার কথা বলে টাকা নিয়ে স্ত্রী এবংনিজের নামে নথি করা হয়।নাদেরুজ্জামান ও নুরুজ্জামানকে ঐ সুত্রে সরকারী সম্পত্তির মালিক হন আলী হোসেন ও সলেমা খাতুন তারা দুই জন ভাই বোন।
এদিকে নুরুজ্জামান নিজ্বসন্তান থাকার কারণে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০০১ ইং কমলনগর উপজেলায় উত্তর চরমাটিন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদে ভূমি অফিসে ভূল রিপোর্ট দিয়ে আলী হোসেন ও সলেমা খাতুনের সরকারের দেওয়া বন্দবস্ত খাশ সম্পত্তি উপর সাবেক বাড়িকে নাল জমি বানিয়ে লিখিত আকারে তহশিলদারের মাধ্যমে নতুন নথি করেন বিবাদী সিরাজুল ইসলাম।এবিষয়ে নিশ্চিত হইতে পারি এলাকাবাসীর বক্তব্যে।বাদী আলী হোসেন ও সলেমা খাতুনের অভিযোগে এলাকাবাসীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানতে পারি নিশ্বসন্তান নুরুজ্জামানকে বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ্য থাকায় হঠাৎ করে কিছু দিন সেবা যত্ন করেন বিবাদী সিরাজুল ইসলাম।নুরুজ্জামানকে সেবা যত্ন করায় সরকার বন্দবস্ত দেওয়া খাশ সম্পত্তির মালিক বলে দাবী করেন সিরাজুল ইসলাম।এ বিষয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে পারি বাদী বিবাদীদের ঘটনা সত্য।কিন্তু কাজগপত্র পর্যালোচনা করে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারি বাদীদের বহু পূর্বের করা বাড়ী ঘর রয়েছে।বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ঐ খাশ সম্পত্তি কে বর্তমানে নাল জমি বানিয়ে ঘোপনে তার নামে নতুন একটা নথি করে মালিক সেজে ওঠে।এদিকে এলাকাবাসীর চাপের মুখে পড়ে বাদীপক্ষ কে সরকারের দেওয়া বন্দবস্ত খাশ সম্পত্তি ফেরত দিতে চাইলেন বিবাদী সিরাজুল ইসলাম।নিজ নথি খরচের দাবী করেন বাদী পক্ষের নিকটে,বিবাদী সিরাজুল ইসলাম। এলাকাবাসীকে জানান,আমার নথির খরচ দেওয়া হলে আমার নাম কেটে তাদের নামে সম্পত্তি হস্তান্তর করে দেওয়া হবে, জানিয়েছেন বিবাদী সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে এলাকাবাসীরা আরও জানান,এ সিরাজুল ইসলাম তার নিজ শশুরের দেওয়া সম্পত্তি ও নিজের নামে বন্দবস্ত সরকারের খাশ সম্পত্তি দলিল ও খতিয়ান করে নিয়েছেন।এ ঘটনার বিবাদীদের বিষয়বস্তুুর কোন সত্যতা না পেয়ে, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক লিখিত আদেশনামা দেন জমির মূল মালিক আলী হোসেন ও সলেমা খাতুনকে।ইউনিয়ন পরিষদের আদেশনামা না মানার কারণে বাদীপক্ষ জানান আমরা এসিলান্ড এর বরাবর নথি কেনচেল করার কথা লিখিত আকারে জানানো হবে।প্রয়োজন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর ভূল নথি দেওয়ার কথা লিখিত আকারে জানাতে প্রস্তুত, আমরা ইতি মধ্যে জমির বাদীপক্ষ আলী হোসেন ও সলেমা খাতুন লক্ষ্মীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্থানীয় নিষেধজ্ঞার জন্য প্রয়োজন হলে প্রার্থনা করা হবে।এলাকাবাসীরা বলেন, আমাদের দাদার আমল থেকে শুনে আসছি ,দীর্ঘ ১৫০ বছর ধরে আলী হোসেনেরা এই জমি ভোগ করতেছে।আমরা কখনো দেখি নাই এবং শুনছি মনে হয়না এ জমির মালিক সিরাজুল ইসলাম।আসলে সে একজন ভূমিদস্যুতায় সিরাজুল ইসলাম।এই জমির মালিক হচ্ছেন মৃত নাদো রুজ্জামান ছেলে আলী হোসেন ও মেয়ে সলেমা খাতুন এতটুকু জানি।
জমির মালিক আলী হোসেন বলেন, এই ৩ দাগে ৮২ শতাংশ জমি রয়েছে।দীর্ঘ ১৫০ বছর আমরা এই জমি ভোগ করতেছি ওয়ারিশগণ।সরকারের দেওয়া বন্দবস্ত খাশ সম্পত্তির সকল কাগজপত্র আমার বাবা নাদেরুজ্জামানের ও আমার চাচা নুরুজ্জামান নামে ছিলো।আমাদের কাছে থাকা সকল কাগজ পত্র আমাদের বিবাদী সিরাজুল ইসলামের হাতে দিয়েছে আমরা।আমাদের বাড়ি কমলনগর উপজেলা চরমাটিন গ্রামে।সাম্প্রতি নদী ভাঙ্গনের কারনে আমাদের বসত বাড়িতে আরেকটি ভিটা তৈরী করতে গেলে বাঁধা প্রধান করেন এ সিরাজুল ইসলাম।এখন আমার বাবা নামে সরকারের দেওয়া সম্পত্তির উপর বাড়ি নির্মান করতে আসলে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম কোথায় থেকে ভূয়া দলিল ও খতিয়ান নিয়ে এসে তার জমি বলে দাবী করেন।এদিকে মন্নান নামের এক ব্যক্তির বাবার ওয়ারিশান সম্পত্তির মালিক মন্নানের মা বাদী হয়ে বিবাদী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টে ওয়ান ফটিফোর একটি মামলা দায়ের করেন।সেই মামলা এখনো চলছে বলে জানান, এলাকাবাসীরা,এ বন্দবস্ত নথি জাতের কারণে।জমির মালিক আলী হোসেন বলেন, আমার দাদা ছিলো সাবেক (ডি.এস) খতিয়ানে এ জমির মালিক। দাদা মৃত্যুর পর আমার বাবার থেকে আমরা এই জমি মালিক।সরকারের দেওয়া বন্দবস্ত খাশ সম্পত্তির খতিয়ান ও দলিল সহ সকল কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে বিবাদী সিরাজুল ইসলামকে।