আগের ম্যাচ থেকে একাদশে পরিবর্তন ১১টি! তবু অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ম্যাচজুড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করল ইংল্যান্ড। শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল মিলল তিনটি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জেতে ইংল্যান্ড।
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জিতল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একই সঙ্গে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে পাঁচবারের দেখায় জিতল সবগুলোই; এই ম্যাচগুলোয় ইংলিশদের গোল ২০টি, হজম করেনি একটিও।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। বাঁ দিক থেকে সাকার ক্রস হেডে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি সফরকারী ডিফেন্ডার। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান লিনগার্ড। ২১তম মিনিটে অভিষিক্ত প্যাট্রিক ব্যামফোর্ডের পাস ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লিনগার্ড জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৩৪তম মিনিটে ডি-বক্সে কনর কোডির ওভারহেড কিক ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
প্রথমার্ধে ৮৯ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা ইংল্যান্ড বিরতির পরও চাপ ধরে রাখে। ৪৯তম মিনিটে দূর থেকে রিস জেমসের বুলেট গতির শট ক্রসবারে লেগে ফেরায় ব্যবধান বাড়েনি।
৭২তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা কেইন। ডি-বক্সে ম্যাসন মাউন্ট ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। জাতীয় দলের হয়ে ৬৩ ম্যাচে কেইনের গোল হলো ৪০টি।
৭৮তম মিনিটে সাকার পাস থেকে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন লিনগার্ড। ৮৫তম মিনিটে দলের পরের গোলেও অবদান রাখেন তিনি। তার ক্রসে হেডে বড় জয় নিশ্চিত করেন সাকা।
পাঁচ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আলবেনিয়া। পরের দুটি স্থানে থাকা পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির পয়েন্ট সমান ৭ করে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অ্যান্ডোরা। সান ম্যারিনোর পয়েন্ট শূন্য।