এবার এইচএসসির ফরম পূরণ করেছে ১৪ লাখ সাত হাজার ৬০ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯, যাদের সবাইকে অটোপাস দেওয়া হয়েছিল। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১ হাজার ২৭১।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার কয়েক দফা স্থগিত শেষে গত ১২ আগস্ট থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়, শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। এবার ঢাকা বোর্ডে তিন লাখ সাত হাজার ৪৭৮, বরিশাল বোর্ডে ৬৬ হাজার ৯৭৮, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৬ হাজার ৮১২, কুমিল্লা বোর্ডে এক লাখ ১৪ হাজার ৭১১, দিনাজপুর বোর্ডে এক লাখ ১৩ হাজার ৩০৬, যশোর বোর্ডে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৫৬, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৯ হাজার ৩০৭, রাজশাহী বোর্ডে এক লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৯ ও সিলেট বোর্ডে ৬৬ হাজার ১০১ জন ফরম পূরণ করেছে। মাদরাসা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছে এক লাখ ১১ হাজার ১৩৭ জন। কারিগরিতে ঢাকা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ জন।
গত ৩১ জুলাই আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে ১১ আগস্ট সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ফরম পূরণের কার্যক্রম চলার কথাও জানানো হয়। সেসময় ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফর্ম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএসপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারিত হলেও পরে তা ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
শিক্ষাবোর্ড থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, করোনার কারণে এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। ফরম পূরণের পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন হবে অনলাইনে। কোনো অবস্থায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সশরীরে প্রতিষ্ঠানের আসতে হবে না। এবার কোন নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না তাই এ সংক্রান্ত কোন ফি নেওয়া যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পারবে। অননুমোদিত রেজিস্ট্রেশনধারী পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণ করলে তা কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘরে বসে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে পারা এবং বোর্ডের ফি ও প্রতিষ্ঠানের ফি এমএফএসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারা একটি মাইলফলক। এটি সম্ভব হলো টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে আমাদের এ সফলতা।