সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জামায়াত নেতার মুক্তির দাবি করেছেন ২০ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের পরিণতি কখনও ভালো হয় না।’
অলি আহমদ আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সাংবিধানিক অধিকার। সরকার অন্যায়ভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অন্যান্য প্রবীণ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে, যা আইনবহির্ভূত কাজ। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে বসে তাদের দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এতে দোষের কিছু নেই। আশা করি সরকার এই সত্যটি উপলব্ধি করে অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ গ্রেপ্তার সবাইকে মুক্তি দেবে।
এদিকে গতকাল গ্রেপ্তার ৯ জামায়াত নেতাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, জামায়াতের শুরা সদস্য ইয়াসিন আরাফাত, সেক্রেটারি জেনারেলের গাড়িচালক মনিরুল ইসলাম ও জামায়াতকর্মী আব্দুল কালাম।