দীর্ঘ এক বছর পর দলীয় স্থবিরতা, সংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার ও নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বসছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
গত বছরের (২০২০ সাল) ৩ অক্টোবর সর্বশেষ কার্যনির্বাহী বৈঠক হয়। করোনার কারণে ওই বৈঠকে দলের গুটিকয়েক নেতা অংশ নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, কার্যনির্বাহী সভা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কার্যনির্বাহী কমিটির যেসব নেতারা অংশ নেবেন তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৮১ সদস্যর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর ১০ জন, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিনজন, সব সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর ১২ জনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ১০ জন সদস্য উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, করোনার কারণে গত দেড়বছর ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা ছিল। তাই নেত্রী আমাদের লিখিতভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম জানতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন। সে জন্য আমরা রিপোর্ট পেশ করতে প্রস্তুতি নিয়েছি। এ ছাড়া সারাদেশে দলীয় কোন্দল নিরসন ও নেতাকর্মীদের চাঙাকরণের বিষয়টিও সভায় উত্থাপিত হবে। সারাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের একযুগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ থাকবে। এ ছাড়া সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন এস এম কামাল।
আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সময় সংবাদকে বলেন, আগামীকালের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে মূলত বিভিন্ন শোকপ্রস্তাব পাস, বিভিন্ন দিবসের অনুমোদন পাস করানোসহ দল চাঙাকরণের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
বিভিন্ন দিবসের মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর দল প্রধান শেখ হাসিনার জন্মদিন, শেখ রাসেলের জন্মদিন, জেল হত্যা দিবস, বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ নানা দিবসগুলোর অনুমোদন ও প্রস্তুতি নিয়ে সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আর দলীয় কর্মকাণ্ডের বিষয়ও দলীয় এজেন্ডা হিসেবে গুরুত্ব পাবে বলে জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।