আক্রমণের তুলনায় খুব বেশি গোল মেলেনি। অবশ্য একেবারে কমও হয়নি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে দুই অর্ধে দুটি করে গোল করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আরেকটি সহজ জয় তুলে নিয়েছে জার্মানি। প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে ‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জেতে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে ৭১ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা জার্মানি গোলের জন্য মোট শট নেয় ১৮টি; যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, চার শটের দুটি লক্ষ্যে রাখলেও আইসল্যান্ড পরাস্ত করতে পারেনি মানুয়েল নয়ারকে।
আগের ম্যাচে আর্মেনিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আসা জার্মানি এ ম্যাচে জালের দেখা পায় চতুর্থ মিনিটেই। বাঁ দিক থেকে সানের গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে নিখুঁত টোকায় বাকি কাজটুকু সারেন জিনাব্রি। আর্মেনিয়ার জালে জোড়া গোল করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের এই মিডফিল্ডার।
প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখে ২৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। জসুয়া কিমিখের ফ্রি কিকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রুডিগার।
বিরতির আগে একাধিকবার আক্রমণে উঠলেও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি জার্মানি। ভেরনার ও লেয়ন গোরেটস্কার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইয়োহান গুডমুন্ডসনের বাঁ পায়ের শট পারেনি আইসল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরাতে।
যথারীতি দ্বিতীয়ার্ধও শুরু হয় জার্মানির আধিপত্য দিয়ে। ভেরনার, কাই হাভার্টজের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান প্রথম গোলের কারিগর সানে। বক্সের ভেতর থেকে গোরেটস্কার নিখুঁত থ্রু বল ডান দিক দিয়ে ছুটে গিয়ে জোরালো কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৬১তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রস থেকে উড়িয়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করা ভেরনার গোলের দেখা পান শেষ দিকে। হাভার্টজের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন চেলসির এই ফরোয়ার্ড। বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মানির।
৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে জার্মানি। আর্মেনিয়া তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। রোমানিয়া ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই নর্থ মেসিডোনিয়া।