ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম খেলতে নামল জুভেন্টাস। পর্তুগিজ তারকার শূন্যতা বুঝতেই দিলেন না আলেক্স সান্দ্রো, পাওলো দিবালা, আলভারো মোরাতা। ইউরোপ সেরার আসরে মালমোকে হারিয়ে দারুণ শুরু পেল জুভেন্টাস। মালমোর মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল।
নিজেদের মাঠে শুরুর দিকে বল পায়ে রাখার দিকে মনোযোগী ছিল মালমো। জুভেন্টাসের পায়ে বল আসছিল মাঝেমধ্যে। এরই মধ্যে দশম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় তারা। মাঝমাঠ থেকে মোরাতার লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে পেয়েছিলেন দিবালা। কিন্তু এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
১৮ মিনিটে সুযোগ এসেছিল সুইডেনের চ্যাম্পিয়ন মালমোর সামনেও। কিন্তু সতীর্থের ক্রসে সেরেন রিকসের সাইড ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ধীরে ধীরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণে গতি বাড়ানো জুভেন্টাস ২৩তম মিনিটে পেয়ে যায় গোলের দেখা। ডান দিক থেকে রদ্রিগো বেন্তাকুরের ক্রসে এক সতীর্থ মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলেও গোলমুখে থাকা সান্দ্রোর ডাইভিং হেড চোখের পলকে জালে জড়ায়।
৩২তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণের ভালো সুযোগ নষ্ট করেন মোরাতা। ৪৫তম মিনিটে স্পেনের এই ফরোয়ার্ড বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিবালা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান মোরাতা। বক্সে এক ডিফেন্ডার বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে দ্রুত চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন স্পেনের এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধও শুরু হয় জুভেন্টাসের আধিপত্য দিয়ে। ৬৯তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জালে বল পাঠিয়েছিলেন বদলি নামা মোইজে কিন। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। একটু পর লক্ষ্যে থাকেনি দিবালার শটও।
বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও চলতি সেরি আয় তিন ম্যাচ জয়হীন থাকা জুভেন্টাস এ জয়ে চেনারূপে ফেরার আভাস দিয়ে রাখল।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট ধরে রাখার মিশন শুরু করেছে চেলসি।