সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতন হয়েছে। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩০ ডলারের বেশি কমেছে। ফলে টানা দুই সপ্তাহের দরপতনে বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্সে কমেছে ৭০ ডলারের বেশি।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমলেও দেশের বাজারে কমার কোনো আভাস দেখা যায়নি। তবে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকলে আগামি সোমবার দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমার চিত্র পর্যবেক্ষণ করছি। আগামী সোমবার পর্যন্ত এটি দেখব। যদি দাম কমার এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে আমরাও দাম কমিয়ে দিব।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে সোনার দাম বাড়তে থাকে।
ওই সময়ে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে চার হাজার ৩৭৪ টাকা দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়। ফলে বাংলাদেশেও সোনার দাম কমানো হয়।
কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে সোনার দামে আবার উত্থান-পতন দেখা যায়। এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম একশ ডলারের মতো বেড়ে যায়। ফলে সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা নির্ধারিত হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৬১ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা নির্ধারিত হয়। এ দামেই বর্তমানে বাংলাদেশে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়ানোর পর গত দুই সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতন হয়। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল এক হাজার ৭৮৮ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে এক হাজার ৭৫৪ ডলারে নেমে এসেছে।
এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৩৩ বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল এক হাজার ৮২৬ ডলার। এ হিসাবে দুই সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৭১ ডলার।