যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে মঙ্গলবার প্রথম এ ভাষণে বাইডেন বিশ্বের দেশগুলোকে বিরোধ একপাশে সরিয়ে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণতন্ত্র এবং কূটনীতিতে বাইডেন তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে, যেমনটি আগে কখনো করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে স্মায়ুযুদ্ধে জড়াতে চায় না।’
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন স্নায়ুযুদ্ধের উন্মেষ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এমন পরিস্থিতিতেই জাতিসংঘের ভাষণে বাইডেন বলেছেন, ‘অভিন্ন চ্যালেঞ্জের শান্তিপূর্ণ সমাধানে যে কোনো দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি নানা বিষয়ে ঘোর মতবিরোধ থাকার পরও।’
আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিরামহীন এক যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে নিরলস কূটনীতির নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থ সহায়তার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু খাতে তহবিল সহায়তা দ্বিগুণ বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নীতি ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। এই নীতি থেকে বেরিয়ে বিশ্বকে ফের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন।
এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সে কথার পুনরাবৃত্তি করে মিত্রদেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আবার বিশ্বমঞ্চে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সময়ের কোভিড থেকে জলবায়ু, মানুষের মর্যাদা এবং মানবাধিকার সব বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেব। কিন্তু আমরা একা কাজ করব না।’
কোভিড, জলবায়ু মোকাবেলা, মানবাধিকার রক্ষা, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং আয় বৈষম্য কমানোর মতো নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবে বলেও জানান বাইডেন।