1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

স্ত্রী হত্যার দায়ে নীলফামারীতে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

মহিনুল ইসলাম সুজন,ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধি।
  • আপডেট : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলী গ্রামে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য সুমী আক্তারকে  হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে(২৮) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দন্ডিত আসামির ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও করেছেন আদালত।মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর)নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২এর বিচারক মোঃ মাহবুবুর রহমান আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর পরিবারের অপর ৬ সদস্য যথাক্রমে বাবা সিরাজুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম, বোন শিল্পি বেগম, চাচা ওবায়দুর রহমান, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ফুফু রোকসানা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় সকল আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত আদালতের সরকারি কৌশলী এ্যাডঃ রমেন্দ্র বর্ধন বাপী।
মামলার বাদী সুমীর বাবা খতিবর রহমানের এজাহার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রেমের সর্ম্পকে ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে একই ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের তার  মেয়ে সুমী আক্তারকে। এর পরদিন উভয় পরিবার ঘটনাটি মিমাংসা করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করেছিল। ওই সময় সুমীর বাবা জামাতা আলমগীরকে নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। বিয়ের দুই বছর পর জামাতা আলমগীর ইজিবাইকের ব্যাটারী ক্রয় করার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসাবে দাবি করলে ওই টাকা প্রদানে সুমী ও সুমীর বাবা অপারগত প্রকাশ করেন।সেই টাকা না দেওয়ার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাতে ঘরের ভেতর স্ত্রী সুমী আক্তারকে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে বেধরক মারপিট ও আগুনের ছ্যাকা দেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলে মুত্যুবরন করেন সুমী। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখে প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাশের প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে আঘাত ও আগুনের গরম ছ্যাকার পোড়া ক্ষত  পাওয়ায় ঘটনার পর দিন সুমীর বাবা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় জামাতা আলমগীর সহ উল্লেখিত ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পূর্ণাঙ্গ ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উঠে আসলে পুলিশ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত এই রায় দেন।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল  করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আল-বরকত হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি