নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ পদুয়া রেঞ্জের আওতাধীন সাতকানিয়ায় মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন ও বন্য হাতি রক্ষায় করণীয় এবং জবরদখল বনভূমি পুনরুদ্ধার বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ নভেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামের নির্দেশে পদুয়া রেঞ্জের উদ্যোগে বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পদুয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, বন্য হাতির হোমরেঞ্জ ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখল করে গড়ে তোলা অবৈধ বসতিগুলো অপসারণ করতে হবে এবং সংরক্ষিত বনভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ বসতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। যাতে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে বন্য হাতি হত্যা করতে না পারে। বন্য হাতির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থলগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বন্য হাতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও প্রজননের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পদুয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্য হাতির মূল আবাসস্থলের উন্নয়ন করতে হলে হাতি অধ্যুষিত বন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। বন্য হাতি অধ্যুষিত বন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগণকে জানাতে হবে বন্য হাতিকে এড়িয়ে চলার কৌশল। বন্য হাতির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থলগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোয় বন্য হাতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও প্রজননের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, মাদার্শা বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল হোসেন, দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক প্রথম আলো’র সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি মামুন মোহাম্মদ, বড়দুয়ারা বিট কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান, ছদাহা ইউপির মহিলা মেম্বার হামিদা বেগম।
এছাড়াও সভায় বড়দুয়ারা এবং হাঙ্গর বিটের জন প্রতিনিধি, সাধারণ জনগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভিলেজার, সাংবাদিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।