হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পৈল গ্রামে নিহত সনজব আলীর ঘটনায় বিন্ন খাতে প্রভাহিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।নিহতের মা খুদেজা খাতুন এক ভিডিও বার্তায় বলেন আমার ছেলে সনজব আলীকে কেউ মারে নি। সে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল। দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর তার শশুরবাড়ি সিকান্দরপুর চলে যায়।সেখান থেকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরে। এদিকে ময়না তদন্তের শেষে সনজব আলীর লাশ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাপন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্বর সন্দ্ব্যায় সনজব আলীর সাথে তার বড় ভাই তৈয়ব আলীর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়।রাতে গুরতর আহত অবস্তায় তৈয়ব আলী (৪৫) তার স্ত্রী মিনারা খাতুন ও নাজমা খাতুন (৩৬) কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
রাতে সনজব আলী,সফিক মিয়া,দুলাল সহ কয়েকজন হাসপাতালে এসে উত্তেজিত হলে ৯৯৯ নাইনে কল দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পরে হাসপাতালে ছুটে যান সদর থানার ওসিকে মাসুক আলীসহ একদল পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সফিক মিয়া,দুলাল মিয়া,দুই ব্যক্তি কে আটক করলে ও সনজব আলী সহ কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়।বুধবার সকাল অনুমান ১১ টায় সনজব আলী কে মৃত অবস্হায় তার বোন জামাই বানিয়াচং উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মর্তুজ আলী ও সিকন্দরপুর গ্রামের সমন্ধীক আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জয়পর,সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে হাসপাতালে আসার পূর্বই মারা গেছে বলে জানিয়ে দেন। এবং হাসপাতালের খাতায় ব্রড ডেট লিখা হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, সনজব আলী ঘটনার পর তার শশুড়ালয় চলে যায়। আর সেখান থেকে মর্তুজ আলীসহ উল্লেখিতরা পরের দিন সকাল ১১টায় মৃত অবস্তায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল নিয়ে আসে।
নিহতের মা খুদেজা খাতুন জানান, সনজব আলীর শশুড়বাড়ি সিকান্দরপুর থেকে লাশ আমার ছেলে বাড়িতে আসে।
আইনের লোকজনের প্রতি অনুরোধ মর্তুজ আলীও তার শশুরবাড়ির সমদ্বিক আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জয়পর কে জিঙ্গাসা করলে সনজব আলীর মৃতের সঠিক ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত তৈয়ব আলী, মিনারা খাতুন ও নাজমা খাতুনকে ৫৪ ধারায় কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, পইল গ্রামে নিহতের ঘটনা এখনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে ব্যাবস্হা নেয়া হবে।