বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, জাতির পিতা যেমন দিয়েছেন আমাদেরকে স্বাধীনতা; তেমনি তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পিতার প্রতি যে সম্মান, ভালবাসা দেখিয়েছেন; সেটি পৃথিবীতে বিরল। তিনি নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন নিয়ে পিতার স্বপ্নকে ধারণ করেছেন, লালন করেছেন এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল- দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো, দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কন্যা হিসেবে তিনি জীবন্মৃত্যুর সন্নিকটে থেকেও উদ্দেশ্য থেকে এক চুলও পিছপা হন নি। পিতার প্রতি কন্যার ভালবাসার এমন নিদর্শন থেকে আজকের প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
আমাদের প্রিয় নেত্রী ১৯৮১ সালে চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিয়ে এসেছিলেন। দেশে ফিরে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যখন তিনি রাজনীতিকে মহান ব্রত জ্ঞান করে কাজ শুরু করেছিলেন; তখন থেকেই ওই বাংলাদেশবিরোধী চক্র বার বার তাঁকে হত্যা চেষ্টা করে। তবুও তিনি পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে একটুও সরে আসেন নি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সকলের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে পারেন বলেই তিনি নিপীড়িত, নির্যাতিত, বঞ্চিতদের নেত্রী; গণমানুষের নেত্রী।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে যুবলীগ নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম কর্মসূচি হচ্ছে আশ্রয় কর্মসূচি। দেশব্যাপী যুবলীগের উদ্যোগে এই যুগান্তকারী কর্মসূচি চলমান থাকবে। প্রতিটি জেলায় ন্যুনতম ১ জন গৃহহীনকে যুবলীগ নিজস্ব অর্থায়নে গৃহ নির্মাণ করে দেবার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নানাবিধ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ৩০০০ জন অসহায়-দুস্থদেরকে বস্ত্র বিতরণ করছি। আগামীতেও এমন মানবিক কর্মকাণ্ড যুবলীগ অব্যাহত রাখবে।
প্রধান বক্তা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নানাবিধ মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত বিশ্বাস করে হত্যার রাজনীতিতে। খুনি জিয়া হত্যা করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে, হত্যা করেছে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।
বিএনপি-জামাত আবারও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে না। ওরা ব্যস্ত ষড়যন্ত্র আর গুজব-অপপ্রচারে। বিএনপি-জামাত চক্রের সেই ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, গুজব-সন্ত্রাস মোকাবেলায় আমাদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জি. মৃণাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুদ্দিন খুসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজি সারোয়ার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক তুহিন, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রহমান,
উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, রাজু আহমেদ, মাইদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান জীবন, আরিফুল ইসলাম, সামিউল আমিন, আলমগীর হোসেন শাহ জয়, কামরুল হাসান লিংকন, বাবলুর রহমান বাবলু, ইঞ্জি. মো. কামরুজ্জামান, নাসিরুদ্দিন মিন্টু, এড. মো. গোলাম কিবরিয়া, প্রফেসর ড. মো. আরশেদ আলি আশিক, জি এম গাফফার হোসেন, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জি. মুক্তার চৌধুরী কামাল, ইঞ্জি. আবু সাইদ মো. হিরো, মুজিবুর রহমান মুজিব, তারিক আল মামুন, ইঞ্জি. মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকার, সৈয়দ আলাউল ইসলাম সৈকত, ডা. মো. আওরঙ্গজেব এড. শেখ মো. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।