1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন জুলিয়াস ও পাতাপোশিয়ান

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১

চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপোশিয়ান ও ডেভিড জুলিয়াস। তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতির সিরেপ্টর আবিস্কার করার জন্য তারা এই সম্মানে ভূষিত হন।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষ কীভাবে স্নায়ুর স্পন্দনের মাধ্যমে তাপমাত্রা এবং চাপ অনুভব করে তার যান্ত্রিক কৌশল বর্ণনা করতে সফল হয়েছেন দুই বিজ্ঞানী।

ডেভিড জুলিয়াস ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সান ফ্রান্সিসকোতে অধ্যাপনা করছেন। পাতাপোশিয়ান ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলাতে স্ক্রিপস রিসার্চের হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।

নোবেল কমিটির পুরস্কার ঘোষণার বিবৃতিতে তাদের আবিস্কার নিয়ে বলা হয়েছে, আমাদের তাপ, ঠান্ডা এবং স্পর্শ অনুভব করার ক্ষমতা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। এ আবিস্কার আমাদের চারপাশের বিশ্বের সঙ্গে আমাদের মিথস্ক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ডেভিড জুলিয়াস ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করেছেন। এটি মরিচ মরিচ থেকে তৈরি তীব্র ঝাঁঝ বিশিষ্ট একটি যৌগ। এটির কারণে জ্বলুনি অনুভূত হয়। ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করে বিজ্ঞানী জুলিয়াস ত্বকের স্নায়ু প্রান্তে থাকা একটি সেন্সরের সন্ধান পেয়েছেন। এই সেন্সর তাপের প্রতি সাড়া দেয়। অন্যদিকে আর্ডেম পাতাপোশিয়ান চাপ-সংবেদনশীল কোষ ব্যবহার করে উৎকৃষ্ট মানের সেন্সর আবিষ্কার করেছেন। এটি ত্বক এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে সক্ষম।’

নোবেল কমিটির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান বলেন, এই আবিষ্কার প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করেছে। এটি আণবিক স্তরে ব্যাখ্যা করে কিভাবে এই উদ্দীপনাগুলি স্নায়ু সংকেতে রূপান্তরিত হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীর আবিষ্কার।

গত বছর হার্ভে জে আল্টার, মিখায়েল হাউটন এবং চার্লস এম রাইস এই তিন বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে পেয়েছিলেন। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য তারা এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।

ডিনামাইট আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেল ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে মর্যাদাপূর্ণ এ নোবেল পুরস্কারের প্রচলন করা হয়। এতদিন এ নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার।

আলফ্রেড নোবেলের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৬৮ সালে এ তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি