নিজস্ব প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ননফান্ডেড (ঋণসুবিধা) অংশের ১২শ কোটি টাকার অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করেছে কমিশন। এর আগে এই দুর্নীতির ফান্ডেড অংশ নিয়ে দুদক মামলা ও চার্জশিট দিয়েছিলো, এবার নন ফান্ডেড অংশ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে হল-মার্ক গ্রুপের ননফান্ডেড ঋণ জালিয়াতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০১২ সালে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর পর ২০১৩ সাল থেকে এই অনুসন্ধান স্থগিত রাখে কমিশন। ফান্ডেড ও ননফান্ডেড সব মিলিয়ে হল-মার্কের মোট ঋণের পরিমাণ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। যার পুরোটাই খেলাপি। সোনালী ব্যাংকের শুধু হোটেল রূপসী বাংলা শাখা থেকেই ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় হল-মার্ক গ্রুপ।
এসব ঘটনায় হল-মার্ক ও ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মোট ৩৮টি মামলা করে কমিশন। এর মধ্যে প্রথমে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মাতের অভিযোগে ২১ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করা হয়।
মামলাগুলোর তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ই অক্টোবর ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সালে হল-মার্কের সহযোগী বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে আরও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কমিশন ৩৫ জনকে আসামি করে আরও ২৭টি মামলা করে।
পরে মামলাগুলো তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ননফান্ডেড প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টির অনুসন্ধান ২০১৩ সাল থেকে সাময়িক স্থগিত থাকে। সাত বছর পর এখন আবার সেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।