বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও বিএনপির সময় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিলো বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শিক্ষাকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাদের ওপরই একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন শিক্ষাবান্ধব শেখ হাসিনা সরকার ১৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়,৩৩০ টি কলেজ, ৩২০টি হাইস্কুল,৪৫০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে ইতিহাসের মাইলফলক স্থাপন করেছে। গেল ৫ তারিখে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন হানিফ।
এ সেমিনারে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এগুলো হলো-
১. শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান সরকারি-বেসরকারি, এমপিও-ননএমপিও বৈষম্য দ্রুততার সাথে নিরসন করে অভিন্ন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
২.বর্তমান বাস্তবতা ও স্পর্শকাতরতা দূরীকরণার্থে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সরকারী অনুরূপ বাড়ী ভাড়া ও উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
৩.শ্রেণী কক্ষকে আরো আকষর্নীয়, মনোগ্রাহী করার জন্য শিক্ষকদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন নিশ্চিতকরণ।
৪.শিক্ষকরা জাতি নির্মাণের কারিগর, অন্যান্য পেশার চেয়ে আলাদা। কাজেই তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নির্ধারণ করা।
৫.বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধ্বে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষানুরাগী ও স্বচ্ছ মনের ব্যক্তিদের নিয়ে অন্তর্ভূক্তকরণ।
৬.শিক্ষার যাবতীয় নীতিনির্ধারনের সকল স্তরে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।
৭.চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বৈশি^ক দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরী করা।
৮.বিশ্বসমাজ, পারিপাশ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সমৃদ্ধ টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে একটি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নতুন ও উদ্যমী প্রজন্ম সৃষ্টির জন্য “শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ” করা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সালাম ও মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর নুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সাজিদুল ইসলাম।