ইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ধুমাইটারী গ্রামে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির বসতবাড়ি উচ্ছেদ, মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দ্বায়ের, রান্নাঘর ভাঙচুরসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার কড়াল গ্রাসে জমি জিরাত হারিয়ে ভাতিজি লাকি বেগম ওই গ্রামে বসতবাসরত চাচা আব্দুর রহমান ও আবুল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন জমি কিনে দীর্ঘদিন হতে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে। লাকি বেগমের স্বামী দুদু মিয়া একজন দিনমজুর।
কোন কারণ ছাড়াই চলতি বছরের শুরু থেকে লাকি বেগমকে উচ্ছেদ করার জন্য চাচারা তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে। পাশাপাশি আদালতে একাধিক মামলা ও পিটিশন দ্বায়ের করেছে। মামলা সমূহ বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে সরেজমিন লাকি বেগমের বসতবাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, এক শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে মানবেতর বসবাস করছে। স্বামী চাচাদের হুমকির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২ অক্টোবর চাচারা তার রান্নাঘরের চুলা ভেঙে দিয়েছে। সে কারণে রান্না করতে না পারায় গত ৩দিন ধরে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। লাকি বেগম জানান, বসতবাড়ি থেকে সরে না গেলে তার স্বামীসহ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে চাচারা। তিনি আরও বলেন, হয়বানিমূলক মামলার আমার চাকরি জীবি ভাইদের আসামি করা হয়েছে। অথচ তার চাকরি করে বাহিরে।
স্থানীয় মোবারক আলী জানান, অন্যায়ভাবে ভাতিজির বিরুদ্ধে মামলা করেছে চাচারা। ন্যায় বিচার পাওয়া দরকার। দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম করি মুকুল জানান, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। চাচা আব্দুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে কোটে মামলা করা হয়েছে। হুমকি এবং বসতবাড়ি উচ্ছেদের বিষয়টি সঠিক নয়। থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আজিজ জানান, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন এই থানায়, বিষয়টি তার জানা নাই। ঘটনাটি সঠিক হলে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে