রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণের রেকর্ড সর্বোচ্চ। যা এক মাস আগের তুলনায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। জাতীয় করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স রবিবার বলেছে, আগের দিন ৩৪৩০৩টি নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়, যা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭৪ জনের সংক্রমণের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি। শনিবার ৯৯৯ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়, যা সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড ১০০২-এর চেয়ে সামান্য কম।
রুশ কর্তৃপক্ষ লটারি, বোনাস এবং অন্যান্য প্রণোদনা দিয়ে টিকা প্রদানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি কারণ এই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এ সপ্তাহে রাশিয়া সরকার জানায়, ৪ কোটি ৩০ লাখ রাশানকে পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা মোট জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও ক্রেমলিন মহামারির প্রথম দিকে যেমন দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাখ্যান করেছিল, এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না বলে মনে হয়। কারণ এটি অর্থনীতির ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। যদিও এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের জনপ্রিয়তা হ্রাস করেছে। এর পরিবর্তে রাশিয়া আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাছে করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধ প্রয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেছে।
রাশিয়ার ৮৫টি অঞ্চলের কিছু বড় পাবলিক ইভেন্টে উপস্থিতি সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিনেমা, রেস্তোরাঁ ও অন্য স্থানগুলোতেও প্রবেশাধিকার সীমিত।
অবশ্য মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং রাশিয়ার অন্য অনেক শহরে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা চলছে স্বাভাবিক গতিতেই।
সংক্রমণের আধিক্য ঘনবসতিপূর্ণ ও নগরায়িত পশ্চিম রাশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তবে প্রায় জনমানবশূন্য সাইবেরিয়ান অঞ্চলে সংক্রমণ সামান্যই।
সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স ৭ দশমিক ৯৯ মিলিয়নেরও বেশি রোগী শনাক্ত নিশ্চিত করেছে। আর ইউরোপে সর্বোচ্চ মৃত্যু রাশিয়াতেই- ২২৩৩২১। আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকোকে অনুসরণ করে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক মহামারিজনিত মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে।
সূত্র : আইরিশ এক্সামিনার।