নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সোকোতো রাজ্যে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। সোকোতো প্রদেশের গভর্নরের কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোকোতো প্রদেশের গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি তামবুয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত রবিবার স্থানীয় গরন্য এলাকার একটি সাপ্তাহিক বাজারে হামলা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরদিন সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্দুকধারীদের এ হামলা অব্যাহত ছিল। এতেই এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর গরন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ৬০টি মরদেহ ছিল। এছাড়া হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে পালানোর চেষ্টাকালে অনেকে আহতও হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হামলার সময় ওই সাপ্তাহিক বাজারের দোকানগুলোতে বহু সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘বাজারটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর বন্দুকধারীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। মানুষকে হত্যা করতে তারা সবদিকেই গুলি চালাচ্ছিল।’
ইলিয়াসু আব্বা জানান, হামলার সময় পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলেও বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের শক্তিই ছিল বেশি। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি নাইজেরীয় পুলিশের মুখপাত্র।
পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
খবর রয়টার্স