এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার দিনই চরজব্বার থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নববধূর মা। মঙ্গলবার দুপুরে চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক ঘটনা ও মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নববধূর সঙ্গে এক বছর আগে মোবাইলে পরিচয় হয় একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মো. রাসেলের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময় প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে রাসেল। কিন্তু ঐ তরুণী রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে বিয়ে প্রলোভনে একে অপরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এরপর তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।
আরো জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি রাতে রাসেল ঐ তরুণীকে ‘গোপন কথা’ আছে বলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে সে। এতে ঐ তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। প্রেমিক বিয়ের প্রলোভন দেখালে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। কিন্তু ঐদিন থেকেই রাসেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত আগস্টে ঐ তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়। গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সন্তান প্রসব করেন তিনি।
ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, রাসেল নামে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নববধূর মা। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।