ম্যাচের শুরুতেই পাঁচ মিনিটে দুই গোল খাওয়ার ধাক্কা গ্রিজমানের নৈপুণ্যে কাটিয়ে উঠেছিল আটলেটিকো মাদ্রিদ। পরে আবার তার ভুলেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি। শেষ দিকে পেনাল্টিও হজম করে তারা। সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচটি ৩-২ জিতেছে লিভারপুল।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে ও পরে প্রিমিয়ার লিগের দুই ম্যাচে চমৎকার দুটি গোল করা সালাহ এদিন ম্যাচের ৮ম মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত গোল করেন। বাঁ থেকে সতীর্থের ক্রস ডান দিকে পেয়ে তিনজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। ৫ মিনিট পর তাদের আরেকটি আক্রমণ আতলেতিকো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি-বক্সের মুখে বল পেয়ে জোরালো ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইতা।
২০তম মিনিটে কোকের নিচু শটে কাছ থেকে টোকায় ব্যবধান কমান গ্রিজমান। আর ৩৪তম মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে স্লাইড শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন বার্সেলোনা থেকে ধারে আসা এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এই দুই গোলের মাঝে ২৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন গ্রিজমান। তবে তার সোজাসুজি শট বুক দিয়ে কোনোমতে ঠেকান আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গ্রিজমানকে হারায় দলটি। ৫২তম মিনিটে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে অনেক উঁচুতে পা তুলে রবের্তো ফিরমিনোর মুখে বুট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৭৮তম মিনিটে সফল স্পট কিকে জয়সূচক গোলটি করেন সালাহ। দিয়োগো জটা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় লিভারপুল।
চার মিনিট পর লিভারপুলের ডি-বক্সে জটার চ্যালেঞ্জে হিমেনেস পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পয়েন্ট পাওয়ার আশা জাগে আতলেতিকোর। তবে ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
টানা তৃতীয় জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে লিভারপুল। পোর্তোর সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আটলেটিকো। মিলানের পয়েন্ট শূন্য।