অন্য দুই ফরম্যাটে মনোযোগ দিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি। তবে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে তার ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
তবে হঠাৎ করেই কোহলির এমন সিদ্ধান্তে অবাক যে হয়েছিলেন সেটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়েছেন সৌরভ, ‘তার (কোহলি) অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে আমি অবাক হয়েছিলাম। খুব সম্ভবত ইংল্যান্ড সিরিজের পরই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এটা ছিল তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
এরপর সৌরভ জানান, কোহলির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়নি বিসিসিআই। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমরা তার সঙ্গে কথা বলিনি বা তার ওপর বোর্ড থেকে কোনো চাপও দেওয়া হয়নি। আমিও একসময় খেলোয়াড় ছিলাম। আমি তাই কখনো এ ধরনের কাজ করবো না।’
বর্তমানে সময়ে একটি দলকে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেয়া বেশ কঠিন। কোহলির সরে দাঁড়ানোকে তাই স্বাগতই জানাচ্ছেন সৌরভ, ‘সামনে ব্যস্ত সূচি। তিন সংস্করণে অধিনায়কত্ব করা অনেক কঠিন৷ আমি নিজেও পাঁচ বছর অধিনায়ক ছিলাম।’
অধিনায়কত্ব করা কতটা চাপের সে ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফলতম এই অধিনায়কের মন্তব্য, ‘বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে আপনি আপনার দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কত খ্যাতি পাচ্ছেন। কিন্তু অধিনায়কত্ব করতে গেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক চাপে থাকা লাগে। এটা শুধুমাত্র সৌরভ, কোহলি কিংবা ধোনির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। সামনে যারা নেতৃত্ব দেবে, তাদেরকেও এই চাপ সামলাতে হবে।’
বিশ্বকাপের পর ভারতের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রবি শাস্ত্রিও। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, কোহলি-রোহিতদের পরবর্তী কোচ হতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। তবে সৌরভ জানালেন, তিনি নিজেই নাকি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
বিসিসিআই সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমি নিজেও খবরের কাগজে এই সংবাদ পড়েছি। আসলে একটা প্রক্রিয়া আছে। যদি সে (দ্রাবিড়) আবেদন করে (কোচ হতে), তাহলে হয়তো হবে।’