বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুর গ্রাম থেকে গভীর রাতে তাকে আটক করেছে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ।
আটক মাজেদুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার ভদ্রকোল গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গুলশান-২ থানায় কর্মরত।
উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুর গ্রামের ওই নারী শুক্রবার উল্লাপাড়া মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম ওই নারীকে বিয়ের জন্য নানাভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেন ওই নারী। এরপর তার বাবার বাড়ি চলে যান।
মাজেদুল তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার ধর্ষণ করেন। মাঝে কিছুদিন গাজীপুরে এক বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানান কৌশলে তাকে বাসায় নিয়ে রাখেন। পরে তিনি তাকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অবশেষে গত ২১ অক্টোবর রাতে মাজেদুল ওই নারীর বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। মাজেদুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করেন। পরে উল্লাপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ওই নারীর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ১২ বছরের সংসার। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে তার অনেক অর্থ ও স্বর্ণ তার স্ত্রী হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আদালতে প্রতারণার মামলা করবেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, কনস্টেবল মাজেদুল থানায় আটক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে মাজেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেবেন।