নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষা সৈনিকদের ‘ভাষা বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একইসঙ্গে সারা বছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ’
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক মতিনের (রাষ্ট্রভাষা মতিন) ৯৪তম জন্মবার্ষিক ও রওশন আরা বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে তাদের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর এবং স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও মায়ের ভাষার অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় যারা ভাষা আন্দোলন করেছেন, তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারা রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষা শহীদদের অবদান তুলে ধরতেই তাদের স্বীকৃতি প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই ভাষা সৈনিকদের তালিকা তৈরি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। অনেক ভাষা সৈনিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করে মারা গেছেন। স্বীকৃতি-সম্মান তো দূরে থাক, রাষ্ট্র তাদের কোনো খোঁজ রাখেনি।’ এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া প্রমুখ।