জম্মু-কাশ্মীর সফরকালে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে শ্রীনগর-শারজাহ সরাসরি ফ্লাইটের উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু ফ্লাইট উদ্বোধনের সপ্তাহ দুয়েক যেতে না যেতেই মুখ থুবড়ে পড়তে বসেছে সেই উদ্যোগ। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী এই ফ্লাইট।
ভারত সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান না বলে দেওয়ায় সাশ্রয়ী ভারতীয় এয়ারলাইন গো ফার্স্টের শ্রীনগর-শারজাহ ফ্লাইটের উপযোগিতা নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর আগে, ২০০৯ সালে পাকিস্তান আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া একপর্যায়ে বন্ধই হয়ে যায় শ্রীনগর-দুবাই ফ্লাইট।
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে, অর্থাৎ শ্রীনগর থেকে রাজস্থান-গুজরাট ঘুরে আমিরাত যেতে যেমন ঘণ্টাখানেক সময় বেশি লাগে, তেমনি জ্বালানি খরচ ও টিকিটের দামও বেড়ে যায়।
গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে শ্রীনগর-শারজাহ ফ্লাইট। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস রাডার২৪’র তথ্যমতে, গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর দিয়ে গেছে এই ফ্লাইট। কিন্তু ২ নভেম্বর রাজস্থান ও গুজরাট হয়ে অনেকটা পথ ঘুরে তারপর আমিরাত যেতে হয়েছে প্লেনটিকে। গো ফার্স্ট জানিয়েছে, তারা আপাতত বিকল্প পথেই ফ্লাইট চালু রাখবে।
এ ঘটনায় ভারত সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এটি অমিত শাহের ‘পিআর স্টান্ট’ বা লোকদেখানো কাণ্ড ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট হিসাব-নিকাশ না করেই শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করেছিল।
পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ভারতের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি না দিলেও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্লেনকে ঠিকই যেতে দিয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্লেন পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ইউরোপ গেছে। গত সেপ্টেম্বরে তার যুক্তরাষ্ট্রগামী প্লেনকেও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান।