তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই ইরানে আফগান শরণার্থীদের ঢল শুরু হয়। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার শরণার্থী তেহরানে প্রবেশ করছে। ফলে দেশটিতে শরণার্থী সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রায় ৩৬ লাখ আফগান শরণার্থী ইরানে অবস্থান করছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) একটি ত্রাণ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল ইরানের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও ইরান বিশ্বের অন্যতম অন্তর্ভুক্তিমূলক শরণার্থী নীতি পরিচালনা করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
চলতি সপ্তাহে ইরান সফরের পর কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জ্যান এগল্যান্ড বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামান্য সমর্থনে ইরান এতো বেশি আফগানকে আশ্রয় দেবে তা আশা করা যায় না। সম্প্রতি যারা ইরানে প্রবেশে করেছে তাদের অবস্থা শোচনীয় বলেও জানান তিনি।
জ্যান এগল্যান্ড বলেন, প্রচণ্ড শীত পড়ার আগে আফগানিস্তান ও ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবিলম্বে সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
শরণার্থী কাউন্সিল জানায়, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার ও তালেবান কাবুলে প্রবেশের পর থেকে কমপক্ষে তিন লাখ শরণার্থী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইরানে প্রবেশে করেছে।
অনেকটা রক্তপাতহীন ভাবেই গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয়। এরপর টানা এক মাস অরাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশটিতে। গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ সমাপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো। এর মধ্যেই গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটিতে তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়েন বহু আফগান নাগরিক।