বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৪৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৪১৪ জন। আর চিকিৎসা শেষে সেরে উঠেছেন আরও তিন লাখ। এর আগের দিন (১৪ নভেম্বর) পাঁচ হাজার ৯৮৮ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময়ে করোনা আক্রান্ত হন চার লাখ ২৭ হাজার ৫২২ জন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৯ জনের। আর এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৫ জন। আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার ১২৬ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন চার কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ১৯০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৭৯ লাখ ১৮ হাজার ৩০১ জন।
করোনায় ভারতে সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জনের। আর সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৯ জন।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১১ হাজার ৩১৮ জনের। মোট সংক্রমিত হয়েছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার ৩৪২ জন।
তালিকায় এরপরে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানি ও কলম্বিয়া।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯২২ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।