বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। তবে কিছু মানুষ সামনে হয়তো শান্তিতে বা কোথাও একটা নাম লিখিয়েছেন। যারা পাকিস্তানি আমাদের সেনা বা তাদের দোসর ছিলো তারা ছিলো হয়তো তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। ঘরের ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের ঠাঁই দিয়েছে। বাড়ির মেয়েরা তাদের রান্না করে খায়িয়েছে। তাদের অস্ত্র রেখেছে, বিভিন্ন অপারেশনে সাহায্য করেছে। সামনে বৈঠকে একজন মুরব্বি বসে থেকে এটাকে কাভার্ড দিয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব কিছু যাচাই-বাচাই করে যারা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সেই বিচার শুরু করা হয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে। যেই ২২ হাজার সাজাপ্রাপ্ত ছিলো এবং এ্যারেস্ট ছিলো তাদের সবাইকে মুক্ত করে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ছিলো তাদের নির্বাচন করার বা ভোটের অধিকার ছিলো না। তাদের রাজনৈতিক দল করার অধিকার ছিলো না। সংবিধানের ১২ এবং ৩৮ অনুচ্ছেদে এটি স্পষ্টভাবে ছিলো। জিয়াউর রহমান এসে সমস্ত কিছু বাতিল করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ধর্মের নামে রাজনীতি এবং যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার এটা জিয়াউর রহমান দিয়েছিলো, যদিও জিয়াউর আপনাদের কাছে প্রকৃত হিরো। অনেক কিছু, একা গণতন্ত্রের প্রবর্তক। এই গণতন্ত্রেও প্রবতর্ক হিসেবে কতো যে হত্যা করেছে তা অনেকেই ভুলে যান এবং বলতে লজ্জাও পান।