দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পর তাকে মেয়র পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। শুক্রবারের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগামীকাল রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কৃত কোনো সংসদ সদস্য তার পদে বহাল থাকতে পারেন না। তবে একই অপরাধে এখন পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কারো পদ হারানোর কোনো নজির নেই। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার পর এই প্রথম কোনো মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটলো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়নে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন দল থেকে বহিষ্কার করায় তিনি মেয়র পদে থাকতে পারবেন না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে জানার পরামর্শ দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, এটা আইনগত বিষয়। দেখে-শুনে মন্তব্য করতে হবে। তবে, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে আদালত যদি স্থানীয় সরকারের কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে মন্ত্রণালয় তাকে বহিষ্কার করতে পারে। কিন্তু এখানে বিষয়টি তা নয়। তাই হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তাই বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম এখন আর মেয়রের পদে থাকতে পারেন না। কারণ তিনি একটি দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই প্রতীকের কারণে তিনি মানুষের ম্যান্ডেট পেয়েছেন। এখন যেহেতু সেই প্রতীক তার ওপর থেকে সরে গেছে, তাই তিনি আর জনপ্রতিনিধি থাকতে পারেন না।