1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

দরজার বাইরে মাকে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন ম্যারাডোনা, দাবি বান্ধবীর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৬০ বার দেখা হয়েছে

আর্জেন্টাইন সাবেক তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আর দুই দিন পরই। কিন্তু এর আগেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অপহরণ, নারী পাচারসহ বেশকিছু মারাত্মক অভিযোগ আনেন তার এক সময়কার অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ।

আর্জেন্টাইন এই সাবেক কিংবদন্তির বিপক্ষে এর আগেও ধর্ষণ নিয়ে কম অভিযোগ আসেনি। নানা রকম অপরাধে জড়িত থাকা ম্যারাডোনা বহুবার সমালোচনায় এসেছেন। কিন্তু এবারের সমালোচনা যেন ভিন্ন। মারা যাওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারই এক সময়কার বান্ধবী।

সম্প্রতি মানব পাচারের মামলায় আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের সামনে সাক্ষ্য দিতে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে আর্জেন্টিনায় এসেছেন ম্যারাডোনার এক সময়কার অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ।
দেশটির গণমাধ্যম ‘ইনফোবে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে একবার আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় আসি। এবার দ্বিতীয় দফায় এলাম। আমাকে বাক্সে ভরে সবার অগোচরে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে দিয়াগোর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগিতা ও বিশেষ অনুমতিতে বুয়েনস এইরেসে আমি যেতে পারি।’

তারা গিয়ে উঠেন হাভানার এক হোটেলে। সেই হোটেলে মাভিসের মাও এসেছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। মাভিস আরও বলেন, ‘ম্যারাডোনা আমার মুখ চেপে রেখেছিলেন, যাতে আমি চিৎকার না করতে পারি। আমি তাই কিছু বলতে পারিনি। এরপর আমাকে ধর্ষণ করেন তিনি। সেদিন মা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতেন, আমরা ওই হোটেলের কোন কক্ষে ছিলাম। কিন্তু ডিয়েগো কক্ষের দরজা খোলেননি। আমার মা কেঁদে কেঁদে দরজায় কড়া নেড়েই যাচ্ছিলেন। তাও ডিয়েগো রাজি হননি। পরে ক্লান্ত হয়ে আমার মা চলে যান। কারণ, ম্যারাডোনা দরজা খুলছিল না।’

২০ বছর আগের এই ঘটনা এতদিন পর সামনে আনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাভিসের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ফিদেল কাস্ত্রোও মারা গেছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও মারা গেছেন। আমার মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। মনে হয়েছে, আমার মেয়ের বয়স এখন ঠিক তেমন, যে বয়সে আমার সঙ্গে ওসব হয়েছিল। আমি হোটেল থেকে বেরোতে পারতাম না, আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি কিছুই জানতাম না শহরটার ব্যাপারে। সব সময় একজন বা দুজন আমাকে দেখে দেখে রাখতো।’ সূত্র: দ্যা সান

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি