1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

ডেনিশ ফুডস এর বিরুদ্ধে ৩.৪৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন- ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর পারটেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রায় ৩.৪৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে।ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি হলো ডেনিশ ফুডস লিঃ, শান্তা ওয়েস্টার্ন টাওয়ার (১৩ তলা), তেজগাঁও, ঢাকা (মূসক নিবন্ধন নং: ০০০০০১৫৬১-০৩০। এর কারখানা শিমরাইল, সিদ্দিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ-১৪৩০ এ অবস্থিত।এটি পারটেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক আলমগীর হুসেন এর নেতৃত্বে একটি দল প্রতিষ্ঠানটির জুলাই/২০১৭ হতে জুন/২০১৮ পর্যন্ত সময়কালের কার্যক্রম তদন্ত করে।
তদন্তকালে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিলকৃত দলিলাদি, প্রতিষ্ঠানটির মূসক পরিশোধ সংক্রান্ত ট্রেজারি চালান, দাখিলপত্র যাচাই করে মূসক আইনের বিদ্যমান বিধান, সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও সাধারণ আদেশ অনুসরন করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন সেবা খাতের বিপরীতে উৎসে মূসক বাবদ ১২,০৬,০০০ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৩১,৭৯,২৭২ টাকা।এতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১৯,৭৩,২৭২ টাকার ফাঁকি উৎঘাটন করা হয়।এই ফাঁকির উপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক ২% হারে ২,৩২,৮৪৬ টাকা বিলম্বজনিত সুদ হিসেবে প্রযোজ্য হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্ত মেয়াদে বিজ্ঞাপনের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত রেয়াত, চা এর জন্য টি পেপার ক্রয়ে অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, টি বক্সের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, বাটারের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, ওয়েলফারে ব্যবহৃত কার্টনের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, নুডলসে ব্যবহৃত সিজনিং পাউডারের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, গ্যাস ও সিএন্ডএফ এর বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াত, নুডলসে ব্যবহৃত কার্টনের বর্ধিত মূল্যের উপর অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াতসহ সর্বমোট ৬৪,২১,৮০৬ টাকা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল।

কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তদন্ত মেয়াদে উল্লিখিত খ্যাতসমুহে ৬৪,২১,৮০৬ টাকা পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ৬৪,২১,৮০৬ টাকা আদায়যোগ্য।

এছাড়া, ৭.৫% উপকরণ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশোধিত মূল্য ঘোষণা না দেয়ায় বর্ধিত মূল্যের উপর গৃহীত রেয়াত কর্তন বাবদ ৩,৭০,৮১,১৩৮ টাকা প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ১,১১,১৮,৬৫৪ টাকা সমন্বয় করায় অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২,৫৯,৬২,৪৮৪ টাকা আদায়যোগ্য।

বর্ণিত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৩,৪৩,৫৭,৫৬২ টাকা এবং সুদ বাবদ ২,৩২,৮৪৬ টাকাসহ ৩,৪৫,৯০,৪০৮ টাকা পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত ভ্যাট এর অভিযোগ মেনে নিয়ে স্বেচ্ছায় ও স্বপ্রণোদিত হয়ে ২,৪৫,৯০,৪০৮ টাকা জমা প্রদান করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে জানিয়েছে।

তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য ও দলিলাদির ভিত্তিতে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

তদন্তে উদঘাটিত পরিহারকৃত বাকি রাজস্ব আদায় ও আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে মামলাটি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পূর্বে প্রেরণ করা হয়েছে।

একইসাথে, প্রতিষ্ঠাটির ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা থাকায় এর সার্বিক কার্যক্রমের উপর বিশেষ নজরদারি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটকে মনিটরিং করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি