এম.জি. কিবরিয়া চৌধুরী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সপ্তম আচার্যের চেয়েও মূল্যবান, কোটি প্রাণের চেয়েও মূল্যবান। সম্পদ ফিরে পাওয়া যাবে। মানুষ থেকে মানুষের জন্ম হবে। কিন্তু একজন শেখ হাসিনা আবার জন্ম নিবে না। জন্ম নিতে পারে না। রাষ্ট্র, সমাজ, সভ্যতা, আইন-কানুন সবকিছুই চলমান এবং ভাসমান। কিন্তু শেখ হাসিনা একজন। আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত মানবসৃষ্ট কোন ষড়যন্ত্রের কবলে যেন পড়তে না হয়। সেজন্য জীবনের বিনিময় হলেও শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা ও রক্ষা করা প্রতিটি মুজিব সৈনিকের গুরুদায়িত্ব। শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, আমার পেশা সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার জায়গা থেকে আমার চোখে যদি কোন অঘটনের চালচিত্র দেখব, সেটি আমি সাংবাদিকতার নীতিমালার ভেতরে থেকে হোক, বাইরে থেকে হোক সেটি আমি তুলে ধরব। লিখব। আমার কাছে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, করপোরেট ব্যবসা, জাতিসংঘ, দুনিয়ার কোন কিছুই শেখ হাসিনার চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ নয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের কাছে থেকে সমগ্র জীবন সুবিধা নিয়েও মুহূর্তের স্বার্থে শেখ হাসিনা বিরোধী হয়ে যাবার মত লোক এই সমাজে কম নয়। এদের আমরা চিনি।
ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ও গুজব রটানো হচ্ছে। এসব গুজব ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল মাধ্যমকে সুচতুরভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো- দেখার পর যা অনেক সময় স্ক্রীনশট দেয়ার সময়ও থাকে না। সংরক্ষণ করা যায় না। আবার সংরক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবগত করা হলে তারা বলে, এটি আধুনিক ডিজিটালাইজেশনের কাজ। এসব মতলববাজি কথা। অথচ যারা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তারপরও কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ কেউ দায় এড়াতে পারে না। কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান বা সংঘের লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন আকারে ষড়যন্ত্রমূলক প্রকাশ হয় সেটি যদি কোন শেখ হাসিনার একজন ভক্ত যদি দেখে, তাহলে মাথা ঠাণ্ডা করার কোন সুযোগ নেই। সে যে মাধ্যমে হোক। কোন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তিলক দেখা যাবে কেন? যদি দেখা যায় সে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির কথা বলে দায় এড়ানো যাবে না। আপনি, আপনারা যত বড়ই হোন, শেখ হাসিনার চেয়ে কেউই বড় নন। ১৭ কোটি মানুষের নির্ভরযোগ্য আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার চেয়ে কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।
লেখক : সম্পাদক, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি।