করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সাবধান হতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) একটি সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এমন বার্তা দিয়ে সংস্থাটির শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এক বছর আগের তুলনায় অনেক আলাদা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তাদের কাছে থাকা তথ্যমতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে উচ্চ পরিবর্তিত এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা মারাত্মক এবং এটি ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদেরও সংক্রমিত করতে সক্ষম কি না।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রাথমিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওমিক্রন কোভিড-১৯ প্রতিরোধী শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা এও বলেছেন যে, তাদের এই প্রতিবেদনের তথ্য চূড়ান্ত নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ড. স্বামীনাথন রয়টার্সকে বলেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি উচ্চ সংক্রমণশীল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দাপুটে ধরন হতে যাচ্ছে। তবে এটি এখনই নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। কারণ বর্তমানে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি প্রায় বিশ্বের ৯৯ শতাংশ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
এদিকে, করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ নিয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই ম্যানিলা থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় প্রত্যেকটি দেশ ও সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় শুধু সীমান্ত সম্পর্কিত পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করা উচিত হবে না। দ্রুত সংক্রমণশীল এ ধরন ঠেকাতে প্রস্তুতির বিকল্প নেই। ওমিক্রন সম্পর্কে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে পারছি না। প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সক্ষমতা বাড়ানো ও টিকা কর্মসূচি ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ৯ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনার নতুন এই ধরন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক বিবৃতিতে বলেন, ওমিক্রন কতটা সংক্রামক তা কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো জানা সম্ভব হবে।