প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড) সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার আটজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন চার লাখ ২২ হাজার ৪২১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ২২ হাজার ৮৭৫ জন। এর আগের দিন পাঁচ হাজার ৬৫০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৫৮৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৬৬২ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছে ২৬ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ২৩ কোটি ৯৭ লাখ সাত হাজার ৩১৩ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছে চার কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন আট লাখ আট হাজার ৭৬৩ জন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৩ জন।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে তিন কোটি ৪৬ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৭৩ হাজার ৩২৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪ জন।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৫ হাজার ৬৭৪ জনের। মোট সংক্রমিত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ জন।
করোনায় আরও চার হাজার মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লক্ষাধিক
তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার একজনে। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৪২ হাজার ২৭৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।