1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১

বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রান করে। ফলে ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করছে মুমিনুল হকরা।

পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাজিদ খান ৮ উইকেট শিকার করেছেন। এর আগে ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।

গতকাল চতুর্থ দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিলো ৭ উইকেটে মাত্র ৭৬ রান। সাকিব ২৩ ও তাইজুল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। ফলোঅন এড়াতে আরও ২৫ রান দরকার ছিলো বাংলাদেশের। তবে পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে ১১ রান যোগ করে ৮৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ফলে ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করছে মুমিনুল হকরা।

ঘরের মাঠে টেস্টে এটি বাংলাদেশের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ২০০২ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচের দুই দিনেরও বেশি সময় বৃষ্টিতে চলে গেছে। গতকালও আলোর স্বল্পতায় এক ঘণ্টা কম খেলা হয়। মাত্র দুই ঘণ্টা ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আলো কম থাকায় পেস বোলিংও করতে পারেনি সফরকারীরা। টেস্ট ইতিহাসের বিরল কাণ্ড মঞ্চস্থ করালেন ব্যাটসম্যানরা, যেখানে বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশনের ফায়দা লুটলেন অফ স্পিনার সাজিদ খান। দিন শেষে তাকে বিজয়ীর আসনে নেওয়ার পেছনে মুশফিকদের ধারাবাহিক ব্যর্থতাই দায়ী।

ব্যাটিংয়ে নেমেই যেন কূল হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। চা-বিরতির আগেই ২২ রানে নেই ৩ উইকেট। অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় (০) স্লিপে ক্যাচ দেন সাজিদের বলে। কাট জাতীয় শর্ট খেলে সাদমানও (৩) একই স্পিনারের শিকার হন। অধিনায়ক মুমিনুল (১) প্রাণপণে ছুটে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হন। যেন গতকালই প্রতিপক্ষের সংগ্রহটাকে টপকে যেতে হবে!

সাজিদকে স্লগ সুইপ করে মুশফিক (৫) ক্যাচ দেন। একই বোলারকে রিটার্ন ক্যাচ দেন লিটন (৬)। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন শান্ত। তিনি করেন ৩০ রান। মিরাজ আউট হলে ৭১ রানে পড়ে ৭ উইকেট। পরে আরও ৬ ওভার তাইজুলকে নিয়ে কাটিয়ে দেন সাত নম্বরে নামা সাকিব। সাজিদ খান ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন।

এর আগে সকালে বৃষ্টির ধাক্কা কাটিয়ে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে খেলা শুরু হয়। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই এবাদতের শর্ট বলে ক্যাচ দেন আজহার আলী। তিনি ৫৬ রান করেন। পরে খালেদ আহমেদের প্রথম টেস্ট শিকার হয়ে ফিরেন ৭৬ রান করা বাবর আজম। তারপর আর উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। ফাওয়াদ আলম ও রিজওয়ান ১০৩ রানের জুটি গড়েন। লাঞ্চের পর ৪ উইকেটে ৩০০ রান ছুঁয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলম ৫০, রিজওয়ান ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ম্যাচের শেষ দিন আজ। বৃষ্টির বদান্যতায় পঞ্চম দিনে আসা ম্যাচে হারের চোখরাঙানিও টের পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি