ইরানের আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভিয়েনা সংলাপে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
খাতিবজাদে বলেন, যখন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে পুনরায় আলোচনা চলছে এবং আমেরিকা দাবি করছে যে, এই সমঝোতায় ফিরতে চায় তারা তখন এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ওয়াশিংটনের সে আগ্রহের আন্তরিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতি এতো বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, ভিয়েনা সংলাপ চলার সময়ও তার পক্ষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, আমেরিকা একথা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ এবং কূটনৈতিক সফলতা একই সময়ে অর্জিত হতে পারে না।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) পরমাণু ইস্যুতে ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। পরমাণু ইস্যুতে সংলাপে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনার খসড়াও এরই মধ্যে জমা দিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।
২০১৫ সালে ইরান ও ছয় দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন। তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দেন। গত এপ্রিল থেকে ইরান ও পাঁচ দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ নভেম্বর ইরানের নতুন প্রশাসনের অধীনে আলোচনা ফের শুরু হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা, পার্সটুডে