একই রাতে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল ও ডাচ ক্লাব আয়াক্স। কিন্তু হেরে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে নাম লিখিয়েছে সিটিজেনরা। একই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে মেসি-নেইমারদের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরের শুরু থেকে আগুনে ফর্মে ছিল লিভারপুল। গ্রুপে টানা পাঁচ ম্যাচ জেতার পরই এসেছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। মঙ্গলবার রাতে এসি মিলানকে.২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের সপ্তম ক্লাব হিসেবে গ্রুপপর্বের ছয় ম্যাচই জেতার রেকর্ড গড়েছে অলরেডরা।
লিভারপুলের মতোই একই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স। তারা নিজেদের শেষ ম্যাচে ৪-২ গোলে হারিয়েছে স্পোর্টিং সিপিকে। গ্রুপের ছয় ম্যাচের সবকয়টি জেতা অষ্টম ক্লাব আয়াক্স। ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের প্রথম ক্লাব হিসেবেই এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে লিভারপুল-আয়াক্স।
এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে গ্রুপপর্বের সব ম্যাচ জেতা ক্লাবগুলো হলো এসি মিলান (১৯৯২-৯৩), প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (১৯৯৪-৯৫), স্পার্তাক মস্কো (১৯৯৫-৯৬), বার্সেলোনা (২০০২-০৩), রিয়াল মাদ্রিদ (২০১১-১২ ও ২০১৪-১৫) এবং বায়ার্ন মিউনিখ (২০১৯-২০)।
এবার বায়ার্ন মিউনিখের সামনে সুযোগ রয়েছে ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে দুইবার গ্রুপপর্বের সব ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ার। এরই মধ্যে পাঁচ ম্যাচ জিতেছে তারা। বুধবার দিনগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলবে বায়ার্ন। জিতলেই হয়ে যাবে দ্বিতীয়বারের মতো ছয় ম্যাচ জেতার রেকর্ড।
মঙ্গলবার লিভারপুলের ইতিহাসগড়ার রাতে দলের জয়ে গোল দুইটি করেছেন ডিভক অরিগি ও মোহামেদ সালাহ। মিলানের হয়ে এক গোল শোধ দিয়েছেন ফিকো তোমোরি। এই ম্যাচে করা গোলের সুবাদে লিভারপুলের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ মৌসুমে ২০ গোলের রেকর্ড গড়েছেন সালাহ।
অন্যদিকে স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে আয়াক্সের হয়ে গোল চারটি করেছেন সেবাস্তিয়ান হলার, অ্যান্টনি, ডেভিড নেরেস ও স্টিভেন বারগুইস। পর্তুগিজ ক্লাবটির হয়ে দুই গোল ফেরত দেন নুনো সান্তোস ও ব্রুনো তাবাতা। এই ম্যাচ হারলেও সি গ্রুপ থেকে আয়াক্সের সঙ্গী হয়েছে স্পোর্টিং সিপিই।
এ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ম্যান সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লাইপজিগ। ডমিনিক জবোসজাই এবং আন্দ্রে সিলভার গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। পরে সিটির পক্ষে ব্যবধান কমান রিয়াদ মাহরেজ। শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেন কাইল ওয়াকার। ফলে একজন কম নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যান সিটি।