মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরার একান্ত ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ আজবর অবশেষে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি একবার মাত্র কলোনী পাড়া মহিলা উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল সাফা শাহিনুর এর বাসায় গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তার নাম্বারটি পর্যন্ত তিনি ব্লাক লিস্টে ফেলে দিয়েছেন।
অথচ সূত্র বলছে মন্ত্রীর পিও আজিবর রহমান শুধূ তার বাসায় যান তাই ই নয়, মজেছেন অন্য রকম এক সম্পর্কে। আর সে সম্পর্কের উপর ভর করে মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচির কোটি টাকা কোন কাজ না করেই তুলে নিয়ে গাড়ী বাড়ী করতে সক্ষম হয়েছেন জান্নাতুল সাফা শাহিনুর। আজিবরেরও সম্পদ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
সূত্রমতে, মাত্র কিছুদিন আগে তিনি মোটা অংকের বিনিময়ে জমি ক্রয় করেছেন স্ত্রীর নামে। আর জানানতুল সাফা শাহিনুর কিনেছেন একটি ব্রান্ড নিউ কার যার নং ঢাকা ১৯১/ঘ। আফিয়ান মোটরের শো রুম থেকে তিনি গাড়ীটি কিনেছেন। আর রাজধানীর বাড্ডাস্ত সুবাস্তু টাওয়ারে কিনেছেন তিনটি ফ্লাট। এর দুটি কিনেছেন লিফ্টের ৬ এ। একটি ১১৫০ স্কয়ার ফিটের, অন্যটি ৬০০ ফিটের। আর ৪র্থ তলায় কিনেছেন ৫৮৫ ফিটের।
এসব তিনি কিনেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল তার কোন কাজ না করে পুরো টাকা তুলে নিয়ে নিজের নামে এসব কিনেছেন তিনি। কোন কাজ না করেই টাকা তুলে নেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তির অজানা কোন বিষয় নয়। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সমিতিকে টাকা দিলো আর এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর বা পিডি কেন সে ফাইল উপরে তুলে দিলেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অডিট বিভাগ কিসের ভিত্তিতে অডিট পাশ করলো তা নিয়ে প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে।
যে কাজের জন্য সমিতিকে টাকা দেয়া হয়েছিল যে কাজ বাস্তবায়িত হয়নি বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পস্ট করে মন্ত্রণালয়কে লেখা হয়। সেই সাথে সমিতির অন্যান্য সদস্যগণও বিস্তর অভিযোগ করেন এ সমিতির নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোন কিছুই যেন তার জন্য বাধা নয়। কেন বাধা নয়! সে প্রশ্নের অনুসন্ধানেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ঘটনার নেপথ্য কুশিলবদের জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। আর সে দৌড়ে এগিযে আছেন মন্ত্রীর পিও আজিবর রহমানের নাম।