শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট শুল্ক ফাঁকির হারুন অর রশীদ পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংসদ সদস্য হিসেবে তার কার্যক্রম কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও চানতে চেয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিন জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয় করেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।