আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইন আইনের গতিতেই চলবে, জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না।
তিনি বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে।
তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন বলছেন বিদেশে যেতে দিতে হবে। কথায় আছে- দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়। আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসহায়দের মধ্যে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, একটা আইনের কোনো দরখাস্ত যদি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনা করার কোনো সুযোগ থাকে না। ওনার বিদেশে যাওয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। ওনার জন্য ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি যে আইনে আবেদন নাকচ করেছি, সেটা সঠিক। তারপরও ওনারা যেটা বলছেন, সেটার কোথাও কোনো নজির আছে কিনা, সেটা দেখার জন্য আমি সময় চেয়েছি। আমার সময় চাওয়া দেখে ওনারা বলেন, আন্দোলন করবেন।
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে যখন মারা যান, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানানোর জন্য তার বাসায় যান। প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করা হয়নি, সারা বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের জাতির পিতা বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের ১৭ জন সদস্য নিহত হন- এ সত্য ঘটনাটি জানার পরও তিনি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করতেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দেওয়া হবে। যতদিন শেখ হাসিনা আপনাদের সেবা দেবেন, ততদিন আপনাদদের চিন্তা নেই, যোগ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।