করোনা টিকার প্রথম দুই ডোজ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। তবে, টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ প্রায় ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এ সতর্কতা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। দেশটির যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থার বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওমিক্রন ও ডেল্টার ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কম কার্যকর। তবে, অনেকে টিকা নেওয়া ফলে করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা ৫৮১ ওমিক্রন ও কয়েক হাজার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। মূলত নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর তা জানতেই তারা এ পর্যালোচনা করেছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা নাটকীয়ভাবে কমেছে এবং ফাইজারের দুই ডোজের কার্যকারিতাও হ্রাস পেয়েছে। তবে টিকার তৃতীয় ডোজ করোনা উপসর্গ ঠেকাতে মাত্রা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সক্ষম।
গত মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই একের পর এক দেশে করোনার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ধরা পড়ছে।
গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে প্রথম দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে যাওয়া দেশটির দুই নাগরিকের দেহে করোনার এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে।