1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন অনিশ্চিত

গাজী আনোয়ার হোসেন 
  • আপডেট : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

৯ টি মামলার  জটিলতার কারনে বেনাপোল পৌর সভা নির্নাবাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । কবে  গাদ মামলাগুলো নিষ্পত্তি হবে সেটিও কেউ নিশ্চিত নয়। এতে পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ভোট না হওয়ায় বর্তমান মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে দুষছেন অনেকেই। তার কলকাঠিতেই মামলার জালে ভোট বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসীরা।

উল্লেখ্য,২০১১ ইং সনে প্রথম বারের মত বেনাপোল পৌর সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। প্রথম ৫ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৫ ইং সনের জানুয়ারী মাসে। কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে কয়েকজন পৌরবাসী(মেয়রকে ভালবাসেন এমন কয়েকজন) কিছু অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন, মামলার বাদীগন তাদের অভিযোগ নামায় বলছেন, এলাকায় দরিদ্র মানুষের বসবাস, তারা কম আয়ের মানুষ, তাদেরকে পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে বেশি বেশি। ফলে তারা পৌর এলাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। এধরনের মামলি অভিযোগ একজন দেশ প্রেমী নাগরিকের কথা হতে পারে না। যিনি পৌর ট্যাক্স দিতে পারবেন না,পৌরসভা কর্তৃক তাদের জন্য কি কোন ব্যাবস্থাদি নেই? কৃত্রিম সংকট সৃস্টি করা এ সকল অভিযোগ পৌর দপ্তরে বসে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা করা সম্ভব। অনেকেই বলছেন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের এটি একটি কূট কৌশল মাত্র। আবার অনেকেই এটিকে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এবং ৮৫,যশোর-১(শার্শা) আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন এর মধ্যকার দ্বন্ধকে দুষছেন।

আমরা জানি, দেশের ৩২৮ টি পৌরসভার মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা ১ম শ্রেণীর কোটায় রয়েছে। এর মান এবং সুনামের কোন কমতি নেই। শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা কতটা যুক্তি সংগত তা পৌর বাসীকে ভাবিয়ে তোলে। নির্বাচন জনসাধারনের একটি মৌলিক অধিকার। স্বচ্ছতা এবং জবাব দিহীতার নির্বাচনই পারে দেশের উন্নয়ন গতিশীল করতে।বেনাপোল পৌরসভার নাগরিকরা ২০১১ সালে একবার ভোট দিতে পেরেছে। এর পর পৌরসভার ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার ৯টি মামলা রয়েছে আদালতে। রাজনৈতিক কারণে মামলা নিয়ে অনেকে না বুঝে আমাকে দোষারোপ করছেন। আমিও চাই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে ভোট হোক। ৩ বছর আগেও মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আমি ও আমার পরিষদ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। মামলার অগ্রগতি কেন নেই,কি কারনে নিস্পত্তি হচ্ছেনা,এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে,তিনি আদালতের দোহাই দিয়ে থাকেন।

বেনাপোল পৌরসভার ছোট আঁচড়া গ্রামের মো: কামাল হোসেন জানান , আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘদিন নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ভোট না হওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাকর্মীরা হতাশ। দীর্ঘদিন পৌরসভার নির্বাচন না হওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বঞ্চিত নাগরিক সমাজ। বর্তমান পরিষদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাও নেই। সর্বশেষ কবে নির্বাচন হয়েছে সেটি ভুলতে বসেছে নাগরিকরা। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

এ ব্যাপারে ৮৫,যশোর-১(শার্শা) আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পৌরসভার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে বেনাপোল ও ঝিকরগাছা পৌরসভার মামলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসক। নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে এমপি জানান।
তিনি বেনাপোল পৌরবাসীর দাবীর সাথে একমত হয়ে বিভিন্ন ভাবে সাজানো মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি চান

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি