লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনা হানা দেয়ার বছরপূর্তি হয়েছে। প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনীতিসহ সব কিছুই বির্পযস্ত। এই অবস্থায় এর থেকে বাঁচতে টিকার জন্য বিশ্বব্যাপী অধীর অপেক্ষায় মানুষ। অথচ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্রিটিশ জনগণ কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন! সাম্প্রতিক এক মতামত জরিপে, প্রতি ৩ জনে একজনেরও বেশি লোক বলেছেন, ভ্যাকসিন যদি সত্যি সত্যি পাওয়া যায়ই তো ভালো। কিন্তু তাদের টিকা নেয়ার সম্ভাবনা নেই।
কিন্তু এত দিন অপেক্ষায় থাকার পর টিকার সুখবর দ্বারপ্রান্তে। ভ্যাকসিন আসায় পৃথিবী তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। মানুষ তাদের চাকরি ও ব্যবসা ফিরে পাবে। বিশ্বও আগের মতো গতিশীল হবে! তাহলে এখন কেন মানুষ এটা গ্রহণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে?
যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি অথোরিটি জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় গত সপ্তাহে। এতে জনগণের মধ্যে আশাবাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা আশা করছেন এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, তারা চাকরি পাবেন। তবুও কেন টিকায় অনাগ্রহ?
জরিপে অংশ নেওয়া তিন-পঞ্চমাংশ (৬০%) মানুষই মনে করছেন, এপ্রিলের শেষ নাগাদই তাদের মতো লোকদের টিকা দেয়া হবে। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে ৪৯ শতাংশ মানুষ এ ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। তবে বয়স্কদের মধ্যে বেশি আশাবাদী হতে দেখা গেছে। ৫২ শতাংশ আশা করছেন, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই তারা প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।
কিন্তু টিকা আসলেও তাদের কাছে এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় রয়ে গেছে। সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও নীতি নির্ধারককের এর সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হবে। যেমন এক তৃতীয়াংশেরও বেশি (৩৫%) বলছেন যে তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার সম্ভাবনা নেই, আর ৪৮ শতাংশ মানুষের আশঙ্কা, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ হবে না, ৪৭ শতাংশের ভয় এটি কার্যকর হবে না এবং ৫৫ শতাংশের আশঙ্কা ফাইজারের ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে।
এই উদ্বেগ সত্ত্বেও, মাত্র পাঁচ জনে একজন (২০%) বলেছেন যে এই ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে এবং সরকার তাদের নেয়ার সুপারিশ করলেও তাদের নেয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই সপ্তাহ আগে কিন্তু এই অনুপাতটি ছিল ২৪ শতাংশ। ফলে এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি (৬৮%) এখন বলছেন, এই পরিস্থিতিতে তারা অবশ্যই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। দুই সপ্তাহ আগে এই হারটি ছিল ৬৭ শতাংশের কিছু বেশি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।