রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলল মেট্রোরেল। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেলটি আগারগাঁও স্টেশনে এসে থামে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ট্রেনটি আবার উত্তরায় ফিরে।
পরীক্ষামূলক চলাচলের অংশ হিসেবে মেট্রোরেলে এই প্রথমবারের মতো এতখানি দূরত্বে চলাচল করল।
এর আগে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল। পরীক্ষামূলক বলে আজও মেট্রোরেলে কোনো যাত্রী পরিবহণ করা হয়নি।
মেট্রোরেলের চলাচল দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে দিয়াবাড়ি ও আগাওগাঁওয়ে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের গোটা প্রকল্প ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে ঢাকার বুকে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
ঢাকা ও এর আশপাশে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে ট্রেন চলাচল করবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ রুটে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পারফরম্যান্স টেস্ট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শুরুতে উত্তরা থেকে তিনটি স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে মেট্রোরেল। গত মাসে দ্বিতীয় ধাপে তা সম্প্রসারণ করে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ছয়টি স্টেশনে আসে। শেষ ধাপে রোববার আগারগাঁও পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হলো।
এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। মাঝখানের চারটি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবেন। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী চড়তে পারবে।