নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের দশম দিন। লড়াকু স্বাধীনতা সৈনিকদের অব্যাহত অগ্রযাত্রা চলছ। এদিন চতুর্দিক থেকে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত ও জনপদ শত্রুমুক্ত করার সুখবর আসতে থাকে। একাত্তরের এদিন থেকেই মূলত: স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ঘনিয়ে আসতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা ‘বিজয় কবে হবে’ প্রশ্নের উত্তর পেতে শুরু করে।
এদিন শত্রুমুক্ত হয়েছিলো কুমিল্লার লাকসাম। সেখানে পাঁচশতাধিক পাকিস্তানি সেনা সেদিন আত্মসমর্পণ করেছিলো। পরদিন পাকিস্তানী বাহিনীর ঢাকায় ফিরে আসার চেষ্টা সবদিক দিয়ে ব্যর্থ হয়। মুক্তিবাহিনী ঢাকা দখল করে নেয়ার জন্য এদিন প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছিলো। ভৈরব বাজার থেকে মিত্রবাহিনীর ৫৭ নম্বর ডিভিশন ঢাকার দিকে অগ্রসর হয়েছিলো। টাঙ্গাইল ছাড়া ঢাকার আশপাশের সকল এলাকাই এদিন শত্রুমুক্ত হয়েছিলো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানের পক্ষ থেকে এদিনই পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের অনুমতি দেয়া হয়। এদিন আরো যেসব এলাকা হানাদারমুক্ত হয়- ভোলা, মোমেনশাহী, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও মধুপুর, মোমেনশাহীর মুক্তাগাছা, নড়াইলের কালিয়া, নড়াইল, নরসিংদীর রায়পুরা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, মাদারীপুর ইত্যাদি।