কষ্টার্জিত স্বাধীনতা রক্ষা ও দেশের উন্নয়নে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিতে হবে আজকের শিশুদেরকেই। তাই শিশুরা যেন সৃজনশীল, মননশীল এবং মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে’।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস ২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ এই বিজয় দিবস ইতিহাসে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। শিশুদের জাতির পিতার সুবিশাল নেতৃত্বের গুণাবলি মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে’।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনন্য আয়োজন ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে জানো’ দুই দিনব্যাপী শিশু মেলা। আজ বুধবার সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধান অতিথি হিসেবে দোয়েল চত্বরে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এ শিশু মেলার উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ও বেলুন উড়িয়ে শিশু আনন্দ র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি শিশু একাডেমি থেকে শুরু করে শহিদ মিনার হয়ে শিশু একাডেমিতে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন শিশুদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমাদের রাজনীতি সচেতন ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা পর্ব শেষে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় সাহিদা বেগম রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর শিশু ভাবনা ও বাংলাদেশের শিশু আইন’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দুই দিনের অনুষ্ঠানমালায় আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, শিশুদের আকা ছবি, শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও জাদু প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে আরও থাকছে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।